নিজেদের সামরিক বিমানে করে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দ্বিতীয় ব্যাচকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঞ্জাবের অম্রিতসারের বিমানবন্দরে ১১৬ জন ভারতীয়কে বহনকারী মার্কিন সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জনকে ফেরত পাঠায় দেশটি। ওই সময় শিকলে তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। এ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর কয়েকদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। ওই সময় ‘ভারতীয়দের প্রতি মানবিক আচরণ’ করার আহ্বান জানান তিনি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পরও আবারও ভারতীয় অভিবাসীদের শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল শনিবার যে ১১৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন দলজিত সিং নামে এক যুবক। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অম্রিতসারে আসার সময় তাদের হাত বাঁধা হয়েছিল এবং পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। তিনি বলেছেন, “আমাদের হাত বাঁধা ও পায়ে শিকল ছিল।”
এই যুবক জানিয়েছেন একটি ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাকে বৈধপথে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে না পাঠিয়ে অবৈধ পথে (ডানকি রুট) দেশটিতে নিয়ে যায়।
প্রথম ব্যাচে যে ১০৪ জন ছিলেন তাদের সবার হাত পা বাঁধা হলেও, দ্বিতীয় ব্যাচে পাঠানো নারীদের এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এদিকে দ্বিতীয় দফায় ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর আগে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এক্সে গতকাল একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, এবার যেসব অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। তার মত ছিল, মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিনিদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটি দেখার বিষয়। তবে ভারতীয় কূটনীতি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও দেশটির নাগরিকদের হাত-পা বেঁধেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেসের এই নেতা এক্সে লিখেছিলেন, “অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান যেটি অম্রিতসার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, এটির ওপর সব নজর থাকবে। তাদের হাত ও পা কী রশি দিয়ে বাঁধা থাকবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।”
সূত্র: দ্য হিন্দু
খুলনা গেজেট/এনএম